এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১ কলেজ ছাত্রী তরুনীকে জবাইয়ের পর পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে ইট দিয়ে মাথা ও মুখ থেতলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে।
জানাযায়, নিহত রুমানা আকতার মৌ (১৯) বীরগঞ্জ উপজেলার বড় শিতলাই গ্রামের আব্দুল মালেকের কন্যা ও ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী কারিগরি কলেজের ছাত্রী। গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দাঁতের ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ী হতে বেরিয়ে আসে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার পিতা মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপজেলার নওগা কালীবাড়ী নাপিতপাড়া নামক স্থানে উপস্থিত হয়ে বিবর্ন দেহ দেখে সনাক্ত করে তার মেয়েকে।
সংবাদ পেয়ে, বীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অসিত কুমার ঘোস, বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন, এসআই গাবুর আলী, এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন-২ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পত্যক্ষদর্ষীরা জানায়, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে রুমানা আকতার মৌ-কে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে জবাই করা হয়েছে। জবাইয়ের পর মাথা ও মুখ থেতলে দেয়া হয়েছে। আগুনের কারনে তার শরীর পরিহত বোরখা পুড়ে যায়।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের নিকট হতে উদ্ধারকৃত খাতা থেকে নাম ঠিকানা দেখে তার বাড়ীতে খবর দেওয়া হয়। বাড়ীর লোকজন গিয়ে লাশটি তাদের মেয়ের বলে নিশ্চিত করে। আমরা হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাবুর আলী জানায়, রাতে রুমানা আকতার মৌ এর পিতা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করে। যার নং- ১৪ তারিখ- ১৭/০৭/১৫ইং।